কোরিয়ান ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (কেডিএবি) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসাবে ৩৩ বছরের অধিক সময় ধরে বাংলাদেশের জনগনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৯০ খ্রীষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠালগ্নের পর থেকে অদ্যাবধি সময় পর্যন্ত নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের হতদরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত নিরক্ষর মানুষের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে । বর্তমানে বাংলাদেশের ঢাকা জেলা সহ মঙ্গা কবলিত কুড়িগ্রাম জেলার ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর চরে অবস্থিত চিলমারী এবং উলিপুর উপজেলার সুবিধা বঞ্চিত জনগনকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কর্মসূচীর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এন.জি.ও বিষয়ক ব্যুরো কর্তৃক নিবন্ধনকৃত যার নিবন্ধন নং ৩৩৪, তারিখ ০৩-০১-১৯৯০ ইং এবং কোরিয়ান সরকারের বৈদেশিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত। কেডিএবি ইতপূর্বে তৃতীয় বর্ষের কর্ম পরিকল্পনা শেষ করেছে যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্থানীয় সুবিধাভোগীদের আত্মউন্নোয়ন ও আত্ম নির্ভরশীলতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। এখন সংস্থাটি তার দ্বিতীয় বর্ষের (২০২২-২০২৬) কর্ম-পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ ও শেষ করছে যার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেতৃত্ব বিকাশ করে দেশ ও জাতীর অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে নেতৃত্ব দেওয়া। কেডিএবির মূল মন্ত্র হল, নিজে কাজ করা, স্বনির্ভরতা, সহযোগিতা, বিশ্বাস, আশা , ভালবাসা ।
কেডিএবি-এর মিশন- লক্ষ্যার্জনের জন্য নিজেকে কাজের উপযুক্ত করে গড়ে তুলে দেশ ও জাতীর আর্থ- সামাজিক উন্নয়নে সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে উন্নয়নে নেতৃত্ব প্রদান ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা।
কেডিএবি-এর দর্শন : কেডিএবি তার মিশন বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের জন্য সুবিধাভোগীদের নিজে কাজ করে আত্ব-উন্নয়নের মাধ্যমে নিম্নলিখিত ক্ষেত্রে লক্ষ্য পূরণে সক্ষম হবে।
১. সুবিধাভোগীদের প্রয়োজন ভাল সরঞ্জাম সাথে উপযুক্ত প্রশিক্ষনের মাধ্যমে জ্ঞান,দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধি করে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তারা নিজেরাই তাদের উন্নয়ন ঘটাতে পারবে।
২. সুবিধাভোগীদের সহজ শিক্ষা সুবিধা প্রদান যার মাধ্যমে তাদের শিক্ষা প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মূল স্বপ্ন পুরণ এবং দেশের সুষম উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
৩.সুষম সামাজিক,সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুবিধাভোগীদের যন্ত্রশিক্ষা, কারিগরী শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা ।
৪. অর্থনৈতিক উন্নয়নে সুযোগ সৃষ্টি করা যাতে করে তারা স্বনির্রভরতা অর্জন করতে পারবে ।
৫. স্থানীয় নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ তৈরী করবে।