(ক) সাধারণ শিক্ষাঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মহানগরীর জনসংখ্যা প্রায় দুই কোটি। মানুষ তাদের জীবন যাত্রা উন্নত করা তথা আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করার জন্য বাংলাদেশের অন্যান্য শহর, উপ-শহর, গ্রামগঞ্জ থেকে রাজধানী মুখী হচ্ছে। আর এসকল মানুষের জীবন যাত্রার রয়েছে নানা বৈসম্য ও বৈচিত্র। বাংলাদেশ সরকারের শ্লোগান “সবার জন্য শিক্ষা” এই লক্ষ্যে ঢাকা শহরের মধ্য পাইক পাড়ায় কেডিএবি ঐ এলাকা সহ আশে পাশে বসবাসরত নি¤œবৃত্ত, গরীব ও অসহায় ছেলেমেয়েদের জন্য একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় অত্যান্ত সুনামের সাথে ১৯৯৩ সাল থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। এখানে প্রতি বছর সমাপণী পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ১০০%।
এ সব ছেলেমেয়েরা খুবই গরীব ও অসহায় নি¤œবৃত্ত পরিবার থেকে যাদের পিতামাতারা বেশীর ভাগই রিক্সা-ভ্যান চালক, গার্মেন্ট কর্মী, দিন মজুরী ইত্যাদি। এই স্কুল থেকে ইতিপূর্বে প্রায় ৩০০০ ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে পরবর্তীতে কেউ কেউ আমাদের স্কলারশী পেয়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এমন কি অনেকে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ভাল ভাল চাকরী করার সুযোগ পাচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবৎ নিজস্ব স্থাপনার অভাবে আমাদের এই শিক্ষা কার্যক্রমকে নি¤œ মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নিত করতে পারছি না তবে কেডিএবি দীর্ঘদিনের স্বপ্ন অতি দ্রুততম সময়ে নিজস্ব জমি ও স্থাপনা তৈরী করে এই স্কুলকে সম্প্রসারিত করা হবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে কেডিএবি নিজস্ব জমি এবং স্থাপনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে।
(খ) কম্পিউটার প্রশিক্ষণঃ বর্তমান ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের স্কুলে রয়েছে একটি সু-সজ্জিত কম্পিউটার সেন্টার যেখানে রয়েছে ১৫ টি অত্যাধুনিক কম্পিউটার। আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর এখানে নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিচ্ছে এবং যারা এখান থেকে পড়াশুনা শেষ করে বাইরের স্কুলে, কলেজে, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে তারাও এই সেন্টারে কম্পিউটার শেখার সুযোগ পাচ্ছে। সর্বপরি এলাকার বেকার, শিক্ষিত যুবক-যুবতী এবং চাকরিজীবিদের জন্য এই সেন্টারের মাধ্যমে কম্পিউটার শেখার ব্যবস্থা রয়েছে।
(গ) স্কলারশীপ প্রদানঃ আমাদের স্কুল থেকে পাশ করার পর যেন কোন ছাত্র-ছাত্রী তাদের পারিবারিক ও নানা অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পড়াশুন বন্ধ হয়ে না যায় সে লক্ষ্যে ঐ সকল গরীব ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে এবং তাদের জীবন আলোকময় হতে পারে তাই তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এই স্কলারশীপ প্রোগ্রাম করা হয়েছে। এর ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, মাসিক টিউশন ফি ইত্যাদি প্রদান করা হয়।
(৪) ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মিউজিক স্কুল প্রোগ্রাম ঃ
মিউজিক স্কুল ও সংস্কৃতি বিনিময় প্রোগ্রাম উন্নয়নের একটি বিশেষ ধারা। সংস্কৃতির উন্ন্য়ন হলো একজন ব্যাক্তি বা একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন রিমাপের জন্য অন্যতম মাপকাঠি। বাংলা মিউজিককে আন্তর্জাতিক সংস্কৃতির স্পর্শে ও কাঠামোতে নিয়ে আসাই এই প্রোগ্রামের মূল লক্ষ্য।
এই প্রোগ্রাম বাংলাদেশে যে বাদ্যযন্ত্র এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে তার সাথে নতুন নির্দেশনা এবং ধারনাকে নতুন বাদ্যযন্ত্রের সঙ্গে যোগ করে আন্তর্জাতিক ও উত্তর ভারতীয় সংস্কৃতির ব্যাকরণ (স্টাফ নোটেশন), সুর এবং বাদ্যযন্ত্র ইত্যাদির উপযুক্ত ব্যবহার দ্বারা একজন শিল্পীকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করা। এই প্রোগ্রামের জন্য রয়েছে আধুনিক বাদ্যযন্ত্র যেমন-পিয়ানো, গিটার, বেহালা সহ আরও অনেক সরঞ্জামাদী এবং বিশেষ শিক্ষা পদ্ধতি। তাছাড়া স্টাফ নোটেশন, মিউজিক থিউরি ও বেসিক শিক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশ সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ করা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করছে।