(ক) মেডিক্যাল সাপোর্টঃ
১। ইনডোর ট্রিটমেন্ট- প্রকল্প এলাকার জনগনের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে নিজস্ব হাসপাতাল এর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়ে থাকে।
২। আউট ডোর ট্রিটমেন্ট-এলাকার জনগণের প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
৩। ডেন্টাল ট্রিটমেন্ট- বিভিন্ন বয়সের লোকদের দাঁতের সব ধরনের চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
৪। স্কুল হেল্থ প্রোগ্রাম- সংস্থার শিক্ষা কার্যক্রমের আওতাধীন ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় শিক্ষা প্রদান করা।
৫। স্পেশাল ট্রিটমেন্ট (জেনারেল)- নিয়মিত স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ছাড়াও বছরের বিভিন্ন সময়ে দেশী/বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করে বিভিন্ন জটিল রোগের সুচিকিৎসা প্রদান করা হয়।
৬। স্পেশাল ট্রিটমেন্ট (সার্জিক্যাল)- বছরের বিভিন্ন সময়ে দেশী/বিদেশ থেকে আগত বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ও সার্জনদের সমন্বয়ে মেডিক্যাল ক্যাম্প করে টিউমার, ঠোঁট কাটা, চোখ, মহিলাদের যাবতীয় গাইনোকোলজিক্যাল সহ জটিল রোগের অপারেশন সম্পাদন করা হয়।
৭। ফ্যামিলি প্লানিং শিক্ষা প্রদান- অশিক্ষা ও নানা কু-সংষ্কারের বেড়াজালে জর্জরিত এলাকার মায়েদের ফ্যামিলি প্লানিং শিক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করা হয়।
৮। আন্ডার ফাইভ কেয়ার ই.পি.আই- সরকার এর স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতাধীন মাঠকর্মীদের সাথে নবজাতক ও শিশুদের বিভিন্ন টিকা প্রদানে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করা।
৯। প্রেগ্ন্যান্ট্ মাদার কেয়ার- গর্ভবতী মায়েদের নিয়মিত চেক্্ আপ করা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা।
১০। এক্স-রে- ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা এক্স-রে সম্পন্ন করা হয়।
(খ) চিলমারী কনান প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল চিলমারী উপজেলার বজরা তবকপুর (বেলের ভিটা) গ্রামে কেডিএবি কর্তৃক নিজস্ব স্থাপনায় ১৯৯৪ সাল থেকে এই বিদ্যালয়টি অত্যন্ত সুনামের সহিত পরিচালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে নার্সারী থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় ৩০০ জন। এখানে প্রতি বছর সমাপণী পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ১০০%।
(গ) চিলমারী কনান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ঃ এলাকার প্রয়োজনে একই ভাবে কেডিএবি তার নিজস্ব স্থাপনায় ২০০৮ সালে কনান মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। বর্তমানে এর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা (ষষ্ঠ-দশম) প্রায় ২৭৫ জন। বিদ্যালয়টি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শাখায় সরকার কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি রয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শাখার পাঠদানের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। কলেজ পরিদর্শক ও সহকারী পরিদর্শক মহোদয় সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন। কলেজ শাখা ওপেনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
(ঘ) লোকাল লিডারশীপ ট্রেনিং স্থানীয় যুবক-যুবতী ও প্রতিনিধিদের সঠিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য স্থানীয়ভাবে এবং প্রয়োজনে বিদেশে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। তারা যাতে সঠিক দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হতে পারে এবং স্থানীয়ভাবে সঠিক নেতৃত্ব দিতে পারে।
(ঙ) স্কলারশীপঃ কেডিএবি কর্তৃক পরিচালিত অতি দরিদ্র এবং মেধা সম্পন্ন ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে তাদের প্রয়োজনীয় অর্থ সাহায্য প্রদান করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এর আওতায় অনেক ছাত্র-ছাত্রী উপকৃত হচ্ছে।
(চ) কনান ফার্মার্স স্বনির্ভর সমিতিঃ এলাকার বেকার যুব সমাজকে স্বাবলম্বী করার জন্য তাদের বিভিন্ন ট্রেনিং প্রদান করে নিজেদের মধ্যে সমিতি গঠন করে দেওয়া হয় এবং তারা নিজেরা সঞ্চয় করে তা থেকে বিনা সুদে ঋণ গ্রহণ করে ছোট খাট ব্যবসা, হাঁস মূরগীর খামার, চাষাবাদ ইত্যাদি করে সাফল্য অর্জন করছে।
(ছ) ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টারঃ
কম্পিউটার ট্রেইনিং সেন্টার : বর্তমান ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কেডিএবি এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রথমবারের মত সু-সজ্জিত একটি কম্পিউটার সেন্টার পরিচালনা করে আসছে। এখানে এলাকার শিক্ষিত যুবক-যুবতী, চাকরীজিবী ও আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা নিয়মিত কম্পিউটার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
দর্জি ট্রেইনিং সেন্টারঃ এলাকার বেকার যুবক-যুবতী/যে কোন বয়সের ব্যক্তিদেরকে দর্জি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
(জ) পোল্ট্রি ফার্মঃ কনান ফার্মার্সদের ট্রেনিং এবং কেডিএবি’র স্ব-নির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে একটি পোল্ট্রি ফার্ম পরিচালিত হয়ে আসছে।
(ঝ) ফিশারি ফার্মঃ এ কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য রয়েছে চারটি পুকুর, এই পুকুরে মাছ চাষের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে এলাকায় বেকার যুবকদের স্ব-নির্ভর করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
(ঞ) ফার্মিং লাইভস্টক (এগ্রিকালচার)ঃ বিভিন্ন রকম উন্নতমানের ফল ও শাক সব্জি যেমন- পেঁপে, আম, পেয়ারা, নারিকেল ভুট্টা, টমাটো ইত্যাদি সহ চাষাবাদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তাছাড়াও ধান, গম ইত্যাদি শস্য উৎপাদন করা হয়। এ সব ফলমূল, শাকসব্জি ও শস্য বাজারজাত করে তার অর্থ প্রকল্পের উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
(ট) নার্সারীঃ বৃক্ষ রোপন কর্মসূচীর আওতায় এখানে রয়েছে একটি নার্সারী যেখানে বিভিন্ন গাছের চারা, কলম ইত্যাদি তৈরী করা হয়। উত্তর বঙ্গের বালু ভুমিতে তা রোপন করা হয় এভাবে উক্ত এলাকায় বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে সরকারের গৃহিত বৃক্ষরোপন কর্মসুচীকে সহায়তা করা হয়ে থাকে। এই কর্মসূচী জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় সহায়ক হবে।
(ঠ) এনভাইরানমেন্ট ডেভেলপমেন্টঃ এলাকার বিভিন্ন বয়সের সকল মানুষকে পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্য সচেতন করাই হল এর লক্ষ্য। এ কার্যক্রমের অংশ হিসাবে প্রয়োজন অনুসারে নিরাপদ পানির ব্যবস্থা (টিউব ওয়েল), সেনিটারী ল্যাট্রিন এর ব্যবস্থা ও কিচেন গার্ডেন এর প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
(ড) ট্রেনিংঃ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং অনুষ্ঠিত করা বিশেষভাবে যারা এসব কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকে তাদের ও আমাদের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য সচেতনার উপর বিশেষ শিক্ষা ও সেমিনার, ওয়ার্কসপ করা।
(ঢ) স্পোর্টস প্রশিক্ষণঃ শরীর ও মন সুস্থ্য রাখার জন্য নিয়ম শৃংক্ষলার মধ্যে আবদ্ধ থাকা তথা নিজেকে পরিপূর্ন বিকাশের জন্য দেশী/বিদেশী বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা নিয়মিত তেকোন্দ, ফুটবল, ভলিবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবল ও সংগীত প্রশিক্ষণ প্রদান করা। এর আওতায় আমাদের স্কুলের ছাত্র- ছাত্রী ও স্টাফরা এই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে।
(ণ) ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টঃ সকল স্টাফ, ছাত্র-ছাত্রীর আমাদের অত্যাধুনিক ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এর মাধ্যমে বিশুদ্ধ খাবার পানি (মিনারেল ওয়াটার) সরবরাহ করা।
(ত) ইমারজেন্সিঃ এলাকার জরুরী প্রয়োজনে রিলিফ প্রোগ্রাম করা এবং সার্ভে করা ইত্যাদি।